Pages

Friday, July 27, 2018

Joy Ganesha

          প্রতিদিন অফিস ঢুকে নিজের সিটে বসার পর প্রথম কোন কথাটা মাথায় আসে? বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে সিংহভাগই ভেবে থাকেন কী করে সাফল্য লাভ করা যেতে পারে, সে সম্পর্কে কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেকেই সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে থাকেন কিন্তু সফলতা যেন আসতেই চায় না কেন এমনটা হয় জানা আছে? শাস্ত্র মতে গুড লাক যখন দূরে পালায়, সেই সঙ্গে নেগেটিভ শক্তি আমাদের ঘিরে ধরে, তখন হাজারো চেষ্টার পরেও সফলতা স্বাদ পাওয়া সম্ভব হয় না আর এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভাগই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে নিজের জীবনকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টায় লেগে পরে

          আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অফিস ডেস্কে গণেশ ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি এনে রাখলে পজেটিভ শক্তির বিকাশ এত মাত্রায় ঘটে যে সফলতা রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে শুধু তাই নয়, দেবের আশীর্বাদে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের পথও প্রশস্ত হয় প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে গণেশ ঠাকুরের নেক দৃষ্টি যদি একবার তার ভক্তের উপর পরে, তাহলে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির পরিবেশ চিরকাল বজায় থাকে ফলে সুখের ঝাঁপি কখনও খালি হয় না সেই সঙ্গে বাচ্চারা পড়াশোনাতেও দারুন উন্নতি লাভ করে এবার বুঝেছেন তো কর্মজীবনকে ঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে গণেশ ঠাকুরের আশীর্বাদ লাভ করা কতটা জরুরি একথা ঠিক যে দেবের আশীর্বাদে বাস্তবিকই কর্মক্ষেত্রে চোখে পরার মতো উন্নতি লাভ করা সম্ভব কিন্তু ঠিক জায়গায় যদি গণেশ ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি রাখতে না পারেন, তাহলে কিন্তু কোনও উপকারই পাওয়া যায় না তাই তো অফিস ডেস্কের কোন স্থানে দেবের মূর্তিটা রাখতে হবে, তা জেনে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল


. সঠিক দিক: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে উত্তর-পূর্ব দিকে মুখ করে যদি গণেশ ঠাকুরের মূর্তি রাখতে পারেন, তাহলে দারুন ফল পাওয়া যায় আর এমনটা করা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে উত্তর দিকে মুখে করেও ঠাকুরের মূর্তি রাখতে পারেন

. দক্ষিণ মুখি: নিজের ভাল যদি চান, তাহলে ভুলেও গণেশ ঠাকুরের মূর্তি দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ -পূর্ব দিকে রাখবেন না কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই নির্দিষ্ট দিকগুলিতে যম এবং আগুন অবস্থান করে তাই তো এদিকে মুখ করে ঠাকুরের মূর্তি রাখলে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে সেই সঙ্গে দেবের আশীর্বাদ থেকেও বঞ্চিত হতে হয়

. সিঁড়ির নিচে নয়: আপনার ডেস্ক যদি সিঁড়ির নিচে বা কাছাকাছি হয়, তাহলে কিন্তু গণেশ ঠাকুরের মূর্তি রাখা চলবে না কারণ এমনটা করলে নেগেটিভিটির মাত্রা বাড়তে শুরু করে ফলে কোনও উপকার তো হয়ই না উল্টে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে প্রসঙ্গত, ডেস্ক যদি চেঞ্জ করতে না পারেন, তাহলে বাড়ির ঠাকুর ঘরে গণেশ দেবকে প্রতিষ্টিত করুন

. টয়লেটের কাছাকাছি রাখা চলবে না: সাধারণত টয়লেটের কাছকাছি কারও ডেস্ক হয় না তবে জেনে রাখা ভাল যে রান্নাঘর এবং ওয়াশরুমের কাছাকাছি ভুলেও দেবের মূর্তি রাখা চলবে না কারণ দেবতাদের কখনই অপবিত্র স্থানে রাখা উচিত নয় আসলে এমনটা করলে খারাপ শক্তির ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে

. লাল কাপড়: এই রংটি গণেশ ঠাকুরর খুব পছন্দের তাই তো ডেস্কে একটি লাল কাপড় পেতে তার উপর ঠাকুরের মূর্তিটা রাখতে ভুলবেন না যেন! এমনটা যদি করতে পারেন, তাহলে দেখবেন সুফল পেতে সময় লাগবে না তবে কয়েক মাস অন্তর অন্তর কাপড়টা চেঞ্জ করে নিতে ভুলবেন না যেন!

. ফুলের সাজ: প্রতিদিন অফিস যাওয়ার সময় অল্প করে ফুল কিনে নিয়ে গিয়ে ঠাকুরের সামনে রাখবেন দেখবেন আপনার ডেস্কের পরিবেশটাই বদলে যাবে সেই সঙ্গে বাড়বে পজেটিভিটির মাত্রাও ফলে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করতে সময় লাগবে না তবে শুকিয়ে যাওয়া ফুল ভুলেও কিন্তু দেবের সামনে রাখবেন না


No comments:

Post a Comment